
প্রকাশিত: Fri, Dec 30, 2022 3:40 PM আপডেট: Mon, May 12, 2025 6:24 AM
যদি এখনো বিএনপির হুঁশ না ফিরে
মারুফ মল্লিক
বিএনপি অনেক হিসাব-নিকাশ করে করে শেষ পর্যন্ত হিসাব মিলাতে পারে না। কী করলে কী হবেÑ এমন অনেক আলোচনা, পর্যালোচনা করে শূন্য হাতে বসে থাকে। মাঠের আন্দোলন বলেন আর উন্নয়ন পরিকল্পনা বলেন, সব জায়গাতেই একই অবস্থা। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে দৃশ্যমান তেমন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। ৫ বছর মেয়াদে এক মেগাওয়াটও বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়েনি। যদিও বিএনপির কেউ কেউ দাবি করেন, ৫০ বা ১৫০ মেগাওয়াট বেড়েছিলো। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার-লেন করার জন্য অনেকবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিলো। কিন্তু চূড়ান্ত করতে পারেনি। আগের সরকারের আমলে ১০ হাজার কম্যুনিটি ক্লিনিককে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে অপরাধীদের আখড়ায় পরিণত করেছিলো। অথচ এসব ক্লিনিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার দুর্দান্ত উদাহরণ হতে পারতো। শোনা যায় এনজিওদের সুবিধা দেওয়ার জন্য ওই সময় বিএনপি সরকার এসব বন্ধ করে দেয়। তবে বিদ্যুতের লাইন ছাড়া খাম্বা বসানো হইছিলো অনেক। যা কোনো কাজে আসেনি। আন্দোলন নিয়েও একই অবস্থায় আছে বিএনপি। আন্দোলনের সুফল তৃতীয় পক্ষ নিয়ে নেয় কিনা এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগে কার্যতো আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করছে বিএনপি। কখন মাঠ দখল করতে হবে, তা ঠিক করতে পারছে না।
বিএনপি বড় দল। মাঠ দখল করলে তৃতীয় পক্ষ এর সুফল নেবে কেন? বা কীভাবে নেবে? তাহলে কি নিজেদের ওপর বিএনপির আস্থা নেই? আন্দোলনের সুফল ঘরে নেওয়ার বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা কি বিএনপির নেই তাহলে। আমরা ধারণা, বিএনপিকে এই অবস্থায় নিয়ে আসছে প্রতিপক্ষ ও বিশেষ একটি দেশের এজেন্টরা। সম্ভবত তাদের দ্বারাই কার্যত বিএনপি এখন অনেকাংশে পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া সম্ভবত ২০০১ সালের নির্বাচনের পরেই শুরু হয়েছে। এই চক্র থেকে বিএনপি আর বের হতে পারেনি এখনো। আমার ধারণা মানুষ বিএনপির পক্ষে মাঠে নামতে চায়। কিন্তু বিএনপির একাংশ চায় না মানুষ তাদের পক্ষে নামুক। এজন্য যা যা করা দরকার তারা তাই করছে। মেট্রোরেল নিয়ে নানা কথাবার্তা আছে। দুর্নীতি হতে পারে। অনেক অতিরিক্ত অর্থ খরচ হতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। দশ বছর পর মানুষ দুর্নীতির এসব অভিযোগ ভুলে যাবে। কিন্তু মেট্রোরেল মনে রাখবে। মনে রাখবে পদ্মা সেতুকে। যা বিএনপি নানা নাটক করে শুরুই করতে পারেনি। আন্দোলন থেকে তৃতীয় পক্ষ সুফল নেবে আর দুর্নীতি করবো না, অপচয় হবে, কোথায় প্রকল্প হবে এ নিয়ে আন্তঃকোন্দলে ঘরে বসে থাকা বিএনপির ভান্ডারে কেবল হতাশা ও অক্ষমতার অভিযোগই জমা থাকবে, যদি এখনো তাদের হুশ না ফিরে। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
